শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন

কারও যোগসাজশে মিন্নিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে : বাবা মোজাম্মেল

কারও যোগসাজশে মিন্নিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে : বাবা মোজাম্মেল

স্বদেশ ডেস্ক: বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য ১ নম্বর সাক্ষী তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গতকাল মঙ্গলবার বরগুনা পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়। সেখানে তার বক্তব্য রেকর্ড ও জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

এ সময় মিন্নির সঙ্গে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেনও ছিলেন। তিনি তার মেয়েকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

মেয়েকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়ের ওপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক। ধারণা করা হচ্ছে, কারও সঙ্গে যোগসাজশে আমার মেয়েকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ দেখেছে আমার মেয়ে স্বামীকে বাঁচানোর জন্য জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছে।’

এদিকে মিন্নির চাচা আবু সালেহ জানিয়েছেন, মিন্নির বাবার বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১০ সদস্যের পুলিশ টিম এখনো অবস্থান করছে। সকাল পৌনে ১০টার সময় মিন্নিকে আনার জন্য নারী পুলিশের একটি দল মোজাম্মেল হোসেন কিশোরের বাড়িতে যায়। তারা পরিবারকে জানিয়েছিল, রিফাত হত্যা মামলার আসামিদের শনাক্ত ও মামলার বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে পুলিশে লাইনে যেতে হবে।

এর আগে নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বরগুনা পৌরসভার মাইঠা নয়াকাটা এলাকার নিজ বাসা থেকে বরগুনার পুলিশ লাইন্সে নিয়ে আসা হয়। এর পর তাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে মিন্নির সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বেলা তিনটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়।

পরের দিন ওই ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এ মামলায় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত সাতজন (ছয়জন জীবিত) ও সন্দেহজনক সাতজন আসামিসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। এজাহারভুক্ত গ্রেপ্তার চারজন এবং সন্দেহজনক ছয়জন আসামিসহ মোট ১০ জনকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া এজাহারভুক্ত দুজন এবং সন্দেহজনক একজনসহ মোট তিন আসামিকে আদালতের অনুমতিক্রমে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে এনে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ ছাড়া এই মামলায় পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা করছে পুলিশ।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877